You are now leaving GSK’s website and are going to a website that is not operated/controlled by GSK. Though we feel it could be useful to you,we are not responsible for the content/service or availability of linked sites. You are therefore mindful of these risks and have decided to go ahead.

Agree Stay
Follow Us
Vaccination Center Near You
dddd

Shingles

তথ্য জানতে চাই:

 

আপনার কি শিঙ্গলসের ঝুঁকি আছে?

আপনার বয়স কি 50 বছর বা তার বেশী?

আপনি কি ইমিউনোকম্প্রোমাইজড (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল)?

আপনার কি জলবসন্ত হয়েছিল?

আপনার কি ডায়াবেটিস, অ্যাজমা বা COPD আছে?

শিঙ্গলস ও তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন

এই ঝুঁকি পরীক্ষা অন্যদের সাথে ভাগ করে নিন এবং তাদের শিঙ্গলস ও তার প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করুন।

কিঙ্গ ল স কি ?

শিঙ্গলস, যা হার্পিস জোস্টার নামেও পরিচিত, তা ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়করণের ফলে দেখা দেয়। জলবসন্ত হলে অথবা ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে, সেটি সারা জীবন দেহের মধ্যে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে যায়। বয়সের সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হতে থাকে, যার ফলে নিষ্ক্রিয় ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়করণ ঘটে শিঙ্গলস দেখা দেয়।

সুতরাং, বয়স্ক ব্যক্তিদের শিঙ্গলসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। শিঙ্গলসের ক্ষেত্রে সাধারণত দেহের বা মুখের একদিকে যন্ত্রণাদায়ক, তরলপূর্ণ ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

শিঙ্গলস সম্পর্কে কি কি জানতে হবে

শিঙ্গলস কেন হয়?

ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস জলবসন্তের (হার্পিস জোস্টার নামেও পরিচিত) জন্য দায়ী। কোন ব্যক্তির জলবসন্ত হওয়ার পরে, এই ভাইরাস দেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে যায়। বহু বছর পরে ভাইরাসটি আবার সক্রিয় হয়ে শিঙ্গলসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ভাইরাস কীভাবে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে সেই সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা খুব একটা নিশ্চিত নন। তবে, সক্রিয় হয়ে ওঠার একাধিক কারণ থাকতে পারে। বয়সের সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশী দুর্বল হবে, ভাইরাসের আবার সক্রিয় হয়ে ওঠা আটকানোর সম্ভাবনা ততটাই কমতে থাকবে। সুতরাং, বয়স্ক মানুষদের মধ্যে শিঙ্গলসের ঝুঁকি অনেক বেশী থাকে।

50 বছরের বেশী বয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী কেন?

প্রথমত, আগে জলবসন্ত হয়েছে এমন ব্যক্তির শরীরে আগে থেকেই শিঙ্গলসের ভাইরাস উপস্থিত থাকে। জলবসন্ত হলে অনেক সময় ব্যক্তি ভুলে যান অথবা হয়েছে তা বুঝতে পারেন না। উভয় ক্ষেত্রেই নিজেকে যথেষ্ট সুস্থ বোধ করা সত্ত্বেও, ভাইরাস আবার সক্রিয় হয়ে উঠলে শিঙ্গলস হতে পারে।

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল তাদের শিঙ্গলসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাকে। আর বয়সের সাথে সাথে যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়ে আসে, 50 বছর বয়সের পরে সম্ভাবনা বেশী হয়।

বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে পোস্ট-হার্পেটিক নিউরালজিয়া (PHN) জাতীয় জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশী থাকে।

শিঙ্গলস কি ছোঁয়াচে?

জলবসন্ত হওয়ার সময় থেকেই শিঙ্গলসের ভাইরাস আপনার শরীরে উপস্থিত থাকে। আবার সক্রিয় হয়ে ওঠা পর্যন্ত এটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। সুতরাং আপনার কাছ থেকে অন্য কারও ছোঁয়াচ লাগবে না।

তবে, কেউ যদি জলবসন্তের টীকা না নিয়ে থাকেন বা আগে কখনও জলবসন্তে আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে তার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিঙ্গলসের ফুসকুড়ির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে জলবসন্ত দেখা দিতে পারে।

শিঙ্গলসের ফুসকুড়ি কতদিন থাকবে?

শিঙ্গলস হলে সাধারণত গায়ে যন্ত্রণাদায়ক ফুসকুড়ি দেখা দেয় যা অনেক সময় ফোস্কায় পরিণত হয় এবং 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে শুকিয়ে গিয়ে 2 থেকে 4 সপ্তাহের মধ্যে মিলিয়ে যায়। এই ফুসকুড়ি সাধারণত শরীর বা মুখের একটি দিকে হয়। ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার 48-72 ঘণ্টা আগে থেকে সেই স্থানে অসাড়ভাব, শিরশিরানি, চুলকানি, বা ব্যাথা বোধ হতে পারে।

মানসিক চাপের কারণে কি শিঙ্গলস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়?

মানসিক চাপ থাকলে শিঙ্গলস হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে শিঙ্গলস হওয়ার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল বয়স। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে 50 বছর বা তার বেশী বয়সের মানুষই শিঙ্গলসে আক্রান্ত হন।

শিঙ্গলস হওয়া আটকানোর উপায় সম্পর্কে আপনার ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলুন।

জলবসন্ত ও শিঙ্গলসের মধ্যে সম্পর্ক কি?

জলবসন্ত বা চিকেনপক্স অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি অসুখ যার ফলে সাধারণত প্রায় সারা দেহে ফুসকুড়ি হয় যা কুটকুট করে আর জ্বর হয়। জলবসন্তের ভাইরাস আবার সক্রিয় হয়ে উঠলে শিঙ্গলস দেখা দেয়। শিঙ্গলসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের কোন একটা অংশে চুলকানি, ব্যাথা, শিরশিরানি ও ফোস্কা দেখতে পাওয়া যায় যা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থেকে যেতে পারে।

আগে জলবসন্তে আক্রান্ত না হলেও কি শিঙ্গলসের ঝুঁকি থাকবে?

আগে কখনও জলবসন্ত না হলে শিঙ্গলসে আক্রান্ত হতে পারবেন না। তবে নিজের অজান্তেই এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারেন বা অনেক সময় ভুলেও যেতে পারেন। এইরকম ক্ষেত্রে বয়স্ক ব্যক্তির সিঙ্গলস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

হার্পিস জোস্টার অপথ্যালমিকাস কি?

হার্পিস জোস্টার অপথ্যালমিকাস হল একপ্রকার শিঙ্গল সংক্রমণ যা চোখ সহ সমগ্র দর্শনেন্দ্রিয়ের ক্ষতি করে। এর উপসর্গগুলি হল কপালে ফুসকুড়ি ও সমস্ত কলার যন্ত্রণাদায়ক প্রদাহ।

শিঙ্গলসের সম্ভাব্য জটিলতা

বেশীরভাগ ব্যক্তিই শিঙ্গলসের সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় লাভ করেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পারে যেগুলির বিষয়ে পরিচর্যাকারীদের জেনে রাখা উচিৎ।।

  • পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়া (PHN)
  • দর্শনেন্দ্রিয়ের অসুখ
  • স্নায়ুবিক সমস্যা
  • শোনার সমস্যা ও ভারসাম্যহীনতা

পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়া (PHN)

PHN হল একপ্রকার শারীরিক জটিলতা যা শিঙ্গলসে আক্রান্ত 25% রোগীর মধ্যে দেখা দেয়। PHN এর অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল স্নায়ুর যন্ত্রণা যা শিঙ্গলসের ফুসকুড়ি মিলিয়ে যাওয়ার পরেও কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত কষ্ট দিতে পারে। এই যন্ত্রণা সাধারণত আক্রান্ত স্থানে অনুভূত হয়।

দর্শনেন্দ্রিয়ের অসুখ

হার্পিস জোস্টার অপথ্যালমিকাস (HZO) হল একপ্রকার শিঙ্গলসের ফুসকুড়ি যা চোখ বা নাককে আক্রান্ত করে, এই অসুখের ক্ষেত্রে 50% রোগীর মধ্যে দৃষ্টি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দেয়। HZO -এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের 30% এর দ্বৈত দৃষ্টি দেখা দেয়। চোখের অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি বিরল ঘটনা এবং 0.5% HZO রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে।

স্নায়ুবিক সমস্যা

এনসেফালাইটিসের (মস্তিষ্কের স্ফীতি) মত স্নায়বিক জটিলতা অত্যন্ত বিরল এবং তা 1% রোগীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।

শোনার সমস্যা ও ভারসাম্যহীনতা

বিরল ক্ষেত্রে হার্পিস জোস্টার অটীকাস হওয়ার কারণে শ্রবণযন্ত্রে শিঙ্গলস ভাইরাস পুনঃসক্রিয় হতে পারে। উপসর্গ হিসাবে রোগীর শোনার সমস্যা, মাথাঘোরা, কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া, মুখে তীব্র যন্ত্রণা হওয়া, মুখের প্যারালাইসিস (রামসে হান্ট সিনড্রোম) দেখা দিতে পারে। 1% শিঙ্গলস রোগীর ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হতে পারে।

শিঙ্গলসের পরে দেখা দেওয়া জটিলতার এটি সম্পূর্ণ তালিকা নয়। আরও তথ্য জানতে অনুগ্রহ করে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

Why worry! When your baby

এর উপসর্গগুশে কি কি ?

শিঙ্গলসের কারণে সাধারণত একপ্রকার যন্ত্রণাদায়ক ও তরলপূর্ণ ফুসকুড়ি তৈরি হয় যা বুক, পিঠ, কোমরের হয় ডানদিকে অথবা বাঁদিকে, স্নায়ুপথ বরাবর হয়। বুক, পিঠ, হাত, উরু বা মাথায় (চোখ বা কান সহ) এই ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। মানুষ এই ব্যাথাকে দপদপ করা#, পোড়ার মত জ্বালা করা#, হঠাৎ তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা করে ওঠা# বা শক পাওয়ার মত অনুভূতি# হিসাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই অসুখের জন্য হাঁটা, ঘুমানো, পোশাক পরা ইত্যাদির মত দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।

এই সংক্রমণের অনুভূতি কেমন হবে

শিঙ্গলস সংক্রমণ প্রথমে দেহের একটি ছোট অংশে ফুসকুড়ি ওঠা দিয়ে শুরু হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি ফুসকুড়ি দেখা দেওয়ার 48-72 ঘণ্টা আগে থেকে সেই স্থানে বৈদ্যুতিক শক# বা সূচ ফোটানোর মত ব্যাথা# বা ফুটন্ত জলে পুড়ে যাওয়ার মত জ্বালাভাব#, চুলকানি, শিরশিরানি ও অসাড়ভাব অনুভব করতে পারেন।

জ্বর, মাথাব্যাথা, কাঁপুনি বা পেট খারাপও হতে পারে।

সেইজন্য, আপনার বাবা-মা বা পরিবারের বড়রা এই উপসর্গগুলি ভোগ করলে, তাদের দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

সূচ ফোটানো#

বৈদ্যুতিক শক#

ফুটন্ত জলে পুড়ে যাওয়ার মত জ্বালাভাব#

শিংলস: প্রতিরোধ এবং চিকিত্সার বিকল্প

আপনি শিঙ্গলসে আক্রান্ত হলে, এই অসুখ ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানার জন্য নিজের চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

শিঙ্গলস প্রতিরোধের উপায়
শিঙ্গলস ভাইরাসের পুনঃসক্রিয়করণের ফলে দেখা দেয় যা জলবসন্ত হওয়ার পরে দেহের মধ্যে থেকে যায়। সেইজন্য, কোন ব্যক্তির যদি কখনও জলবসন্ত না হয়ে থাকে তাহলে তাকে জলবসন্ত বা শিঙ্গলসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে দেবেন না। এছাড়াও, জলবসন্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে তাদের হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ও কাশির সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলুন।

শিঙ্গলস হওয়া আটকানোর সেরা উপায়গুলি কি কি?

টীকাকরণ দ্বারা শিঙ্গলস দূর করা যাবে। এই অসুখ ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানার জন্য নিজের চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

টীকা নেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে শিঙ্গলস হওয়া আটকানো যায়?

টীকা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, ফলে এটি শিঙ্গলস ভাইরাসের সাথে মোকাবিলা করে একে আবার সক্রিয় হতে দেয় না।

শিঙ্গলস কীভাবে সারানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে?

চিকিৎসার মাধ্যমে অসুখের স্থায়িত্বকাল ও তীব্রতা কমানো যাবে এবং আপনার উপসর্গের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার মাধ্যমে ভাইরাসকে দুর্বল করা হবে এবং/অথবা যন্ত্রণা দূর করা হবে।

আপনি শিঙ্গলসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহ করলে যত দ্রুত সম্ভব আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। উপসর্গের তীব্রতা ও স্থায়িত্বকাল কমানোর জন্য তিনি উপযুক্ত ওষুধ দেবেন।

 

উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের সাধারণ পরামর্শ:

  • ফুসকুড়ির জায়গা থেকে সংক্রমণ হওয়া আটকাতে জায়গাটি শুকনো ও পরিষ্কার রাখুন
  • আলগা পোশাক পড়ুন
  • দিনে কয়েকবার ঠাণ্ডা সেঁক দিন

শিঙ্গলস ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

শিঙ্গলস ও এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।